নালিতাবাড়ীতে মাটি খুঁড়ে গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় নিখোঁজের পাঁচ দিন পর মাটি খুঁড়ে নাছিমা বেগম (৩৮) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওই গৃহবধূর বাবা মো. নাদির আলী বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। নাছিমা উপজেলার মানিককুড়া গ্রামের আমির হোসেন মণ্ডলের স্ত্রী ছিলেন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, ওই নারীর বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। আজ শুক্রবার ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার তদন্তে কাজ করছে পুলিশ।
পুলিশ ও নিহত গূহবধূর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নাছিমার সামান্য মানসিক সমস্যা ছিল। তিনি মাঝেমধ্যে মানিককুড়া গ্রাম থেকে স্থানীয় হেন্ডেলের মোড়ে চা পান করতে যেতেন। নাছিমা চার সন্তানের জননী। তাঁর স্বামী পেশায় গ্রাম পুলিশ। গত শনিবার বিকেলে নাছিমা বাড়ি থেকে বের হন। রাতেও বাড়িতে না ফেরায় তাঁর স্বামী-সন্তানেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। স্ত্রীর সন্ধান না পেয়ে মঙ্গলবার নালিতাবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন আমির হোসেন।
নাছিমার স্বজনেরা জানান, চার দিন তাঁরা বিভিন্ন স্থানে তাঁর সন্ধান করেন। প্রতিদিনের মতো গতকাল বৃহস্পতিবারও বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে বন বিভাগের সমতলের কাঠবাগানে তাঁকে খুঁজছিলেন। এ সময় জঙ্গলের ঝোপে লাশের হাত ও মাথার কিছু অংশ বের হওয়া অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা। মাটি খুঁড়ে লাশের হাতের চুড়ি ও পরনের কাপড় দেখে স্ত্রীর লাশ শনাক্ত করেন আমির। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করে।
নাদির আলী বলেন, তাঁর জানা মতে, নাছিমা কারও কোনো ক্ষতি করেনি। কিন্তু কী কারণে তাঁর মেয়েকে হত্যা করে এভাবে মাটিচাপা দেওয়া হলো। তিনি এ ঘটনার বিচার চান। থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ তদন্ত করে মেয়ের হত্যাকারীদের বিচার করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নালিতাবাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আফরোজা নাজনীন বলেন, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের ক্রাইম সিন ইউনিট, র্যাব ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কী কারণে ওই নারীকে হত্যা করা হতে পারে, তা নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। আশা করছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটিত হবে।
কোন মন্তব্য নেই