জামাল ভূঁইয়ার ১৯২–এর দুঃখ

 

বাংলাদেশের ফিফা র‍্যাঙ্কিং এখন ১৯২। কী মনে হয় সামনের দুটি ম্যাচ খেলে একটু কি উন্নতি করা সম্ভব?

জামাল ভূঁইয়ার উত্তরে থাকল উন্নতির আকাঙ্ক্ষা। আজ উত্তরা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন মাঠে জাতীয় দলের প্রথম অনুশীলন শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, ‘আমরা উন্নতি করতে চাই। শুধু ফুটবলাররা উন্নতি করতে চাই না, বাংলাদেশের মানুষ, বাংলাদেশের মিডিয়াও উন্নতি করতে চায়। আমাদের আরও সামনে যেতে হবে। হাতে দুটি ম্যাচ আছে। এই ম্যাচ দুটি থেকে ৬ পয়েন্ট পেলে র‍্যাঙ্কিংয়ে সামনে আসতে পারি আমরা।

র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি আনা এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ফুটবল দলের বড় লক্ষ্য। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও চাইছে উন্নতি। আর সেটা মাথায় রেখেই আগামী মাসে প্রায় সমমানের দুটি দল কম্বোডিয়া ও নেপালের সঙ্গে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই ম্যাচ দুটিরই প্রস্তুতি শুরু হলো আজ।


জামাল ভূঁইয়ারা চাপের মুখে আছেন ম্যাচ দুটি নিয়ে। সত্যিই কি চাপ অনুভব করছেন? এই প্রশ্ন শুনেই জামাল ১৯২-এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন। বললেন, ‌‌‘বাংলাদেশি ফুটবলপ্রেমীদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি আমি।’ কেন সেটাও ব্যাখ্যা করেন, ‘আমরা ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে অনেক নিচে আছি। সবাই চায় সামনে যেতে। আমরাও চাই।

সামনের ম্যাচ দুটির প্রতিপক্ষ কম্বোডিয়া আর নেপাল প্রসঙ্গে তাঁর কথা, ‘ওরা আমাদের র‍্যাঙ্কিং দেখবে না। ওরা ভাববে আমাদের হারানো কঠিন হবে। আমরা ভালো ফুটবল খেলতে পারি। ওদের সঙ্গে খেললে জয়ের ভালো সুযোগ আছে।’

এরপর জামালের সংযোজন, ‘বাহরাইনের সঙ্গে খেললে আমাদের জয়ের সম্ভাবনা ২০–৩০ ভাগ। কম্বোডিয়া-নেপালের সঙ্গে ৫০-৫০। আমাদের এখন নিজেদের প্রমাণ করতে হবে। আমরা অনুশীলন শুরু করেছি জেতার জন্য। আমরা জিততে চাই, জিততে হবে আমাদের। আমাদের ভালো প্রস্তুতি দরকার। প্রস্তুতির জন্য তিন সপ্তাহ সময় ঠিক আছে।’

২২ সেপ্টেম্বর কম্বোডিয়া ও ২৭ সেপ্টেম্বর নেপালের সঙ্গে তাদেরই মাঠে জিততে চায় বাংলাদেশ। সেটা কি সম্ভব? জামাল বলছেন, ‘সর্বশেষ আমরা কম্বোডিয়ার সঙ্গে জিতেছি ওদের মাঠে। কাজেই আমি মনে করি জিততে পারি। জেতার ভালো সুযোগ আছে। আমরা ৬ পয়েন্টের জন্যই যাব।’


গত ৩১ জুলাই প্রিমিয়ার লিগ শেষে ফুটবলাররা ছুটিতে ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের ফিটনেস কমে গেছে এই কদিনে। তবে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা সেটা মনে করেন না। প্রথম দিনের অনুশীলন শেষে ফুটবলারদের ফিটনেস দেখে উচ্ছ্বাসই প্রকাশ করেছেন তিনি, ‘ওদের ফিটনেস একদম ঠিক আছে, আমি খুশি।’ এরপর যোগ করেন, ‘ফুটবলাররা অনেক ম্যাচ খেলে। ফলে ওদের ক্লান্তি দূর করতে বিশ্রাম দরকার। বিশ্রাম শেষে ওরা এসেছে, সবকিছু একদম ঠিক আছে।’

ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ২৭ জনের মধ্যে স্ট্রাইকার সুমন রেজা ছিলেন না প্রথম দিনের অনুশীলনে। বিমানবাহিনীতে চাকরির সুবাদে সেই দলের অনুমতি তাঁকে নিতে হবে। কিন্তু আগামী মাসে আন্তঃবাহিনী খেলা থাকায় সুমনকে চায় বিমানবাহিনী। তবে সুমনের ইচ্ছা জাতীয় দলের হয়ে খেলা। শেষ পর্যন্ত কী হবে, আজ রাতের মধ্যে জানা যাবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.