যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দিতে কম্পিউটিং সক্ষমতা ৫০ শতাংশ বাড়াচ্ছে চীন

 


২০২৫ সালের মধ্যে নিজেদের কম্পিউটিং সক্ষমতা ৫০ শতাংশ বাড়াতে চায় চীন। সেই সঙ্গে দেশটি সুপার কম্পিউটিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় আরও বেশি মনোযোগী হচ্ছে। সোমবার প্রকাশিত চীনের এক সরকারি পরিকল্পনায় এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

উচ্চ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার লড়াই বেড়েই চলেছে—সেমিকন্ডাক্টর থেকে এআইভিত্তিক সুপার কম্পিউটার পর্যন্ত এ লড়াইয়ের ক্ষেত্র বিস্তৃত। সেই সঙ্গে চীনের উত্থান রুখতে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে চিপ তৈরির উপকরণ রপ্তানি সীমিত করেছে।
চীনের ছয়টি মন্ত্রণালয় একযোগে এ পরিকল্পনা করেছে, যার মধ্যে আছে মিনিস্ট্রি অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি (এমআইআইটি)। ২০২৫ সালের মধ্যে এরা চীনের সামগ্রিক কম্পিউটিং সক্ষমতা ৩০০ ইএফএলওপিএসে উন্নীত করতে চায়, অর্থাৎ চীন তার কম্পিউটিং সক্ষমতা প্রতি সেকেন্ডে এক কুইট্রিলিয়ন ফ্লোটিং পয়েন্ট অপারেশন্সে নিয়ে যেতে চায় (এই সক্ষমতা দিয়ে পৃথিবীর ১০০ বছরের জলবায়ু পরিবর্তনের ছদ্মরূপ এক ঘণ্টার মধ্যে তৈরি করা সম্ভব)।


গত আগস্ট মাসে এমআইআইটি জানায়, চলতি বছর চীনের কম্পিউটিং সক্ষমতা এ বছর ১৯৭ ইএফএলওপিএসে উঠেছে, ২০২২ সালে যা ছিল ১৮০ ইএফএলওপিএস। এমআইআইটি জানিয়েছে, কম্পিউটিং সক্ষমতার দিক থেকে তাদের অবস্থান এখন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কম্পিউটিং সক্ষমতা কত, সে বিষয়ে তারা বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

এআই প্রশিক্ষণের জন্য বিপুল পরিমাণে কম্পিউটিং সক্ষমতা প্রয়োজন, সে জন্য বেইজিং ক্রমেই কম্পিউটিং সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠছে।

এদিকে গুগল গত মাসে এক ব্লগপোস্টে জানিয়েছে, বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ের এআই মডেলের প্রশিক্ষণের মেয়াদ কমাতে বিপুল পরিমাণে সুপারকম্পিউটিং সক্ষমতা প্রয়োজন।

এখন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর কম্পিউটিং সক্ষমতা বাড়াতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও তথ্যভান্ডার গড়ে তোলার চিন্তা করছে চীন। ক্রমবর্ধমান এআই শিল্পের চাহিদা মেটাতে বেইজিং পশ্চিম চীনে কম্পিউটারভিত্তিক অবকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনাও করছে।

দেশটির ইন্টারনেট–ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে চীনের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের গুইঝু প্রদেশকে অনেক আগেই বড় আকৃতির তথ্যভান্ডার গড়ে তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যেমন অ্যাপল গুইঝুতে স্থানীয় এক অংশীদারকে নিয়ে ডেটা সেন্টার বা তথ্যভান্ডার গড়ে তুলেছে।

চীনের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, কম্পিউটেশন নেটওয়ার্কের দক্ষতা ও গতি বৃদ্ধি করা। পরিকল্পনা হচ্ছে, তথ্য স্থানান্তরের নির্দেশনা দেওয়ার পর তা হতে যেন পাঁচ মিলিসেকেন্ডের বেশি সময় না নেয়।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.