ধর্ষণের সময় নারীর গলা টিপে ধরেন দানুস্কা

 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে এক নারীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার দানুস্কা গুনাতিলাকা। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে পুলিশ বলছে, ওই নারীকে ধর্ষণ ও তার গলা টিপে ধরেন দানুস্কা। 

বুধবার (৯ নভেম্বর) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দানুস্কা এতো জোরে ওই নারীর গলা টিপে ধরেন যে তিনি নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন। 

দানুস্কার বিরুদ্ধে যৌন মিলনের সময় ওই নারীর অনুমতি ছাড়া কনডম খুলে ফেলার অভিযোগও আনা হয়েছে। তবে কোনও ধরণের সহিংসতা বা জোর করার কথা নিজের জবানবন্দিতে অস্বীকার করেছেন তিনি। 

এদিকে, দানুস্কা অস্ট্রেলিয়া ত্যাগ করতে পারেন এমন শঙ্কা থেকে তাকে জামিন দেয়নি সিডনির আদালত। 

আদালতে জমা দেয়া পুলিশের নথিতে বলা হয়েছে, গত ২৯ অক্টোবর ডেটিং অ্যাপ টিনডারে পরিচয় হয় দানুস্কা ও ওই নারীর। এরপর ২ নভেম্বর তারা দেখা করার পর একসাথে ওই নারীর বাসায় যান। 

সেখানে দানুস্কা ওই নারীকে ধর্ষণ করেন ও গলা টিপে ধরেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এর মধ্যে এক বার তিনি ৩০ সেকেন্ড ধরে ওই নারীর গলা টিপে ধরেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। 

ওই নারী নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন এবং অভিযুক্তর কাছ থেকে পালাতেও পারছিলেন না বলে পুলিশ অভিযোগ করেছে। 

নথিতে আরও বলা হয়েছে, আক্রমণের সময় ঘরের মেঝেতে একটি কনডম পড়ে থাকতে দেখেন ওই নারি। যদিও কনডম পড়তে দানুস্কাকে বলেছিলেন তিনি। 

পুলিশ বলছে, কনডম ছাড়া যৌনমিলন বা গলা টিপে ধরার ব্যাপারে অসম্মতির কথা দানুস্কাকে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন ওই নারী। 

ঘটনার পরদিন ওই নারী তার দুই বন্ধুকে এ ব্যাপারে জানান এবং পরামর্শকের সাথে কথা বলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। পরে হাসপাতালে ফরেনসিক পরীক্ষা করিয়ে গলা টিপে ধরার ফলে মস্তিষ্কের সম্ভাব্য আঘাতের জন্য স্ক্যানও করান তিনি। 

তবে পুলিশের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে দানুস্কা দাবি করেন, সেদিন যৌন সহিংসতা বা সম্মতি ছাড়া যৌন মিলনের মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে অভিযোগকারীর সাথে সম্মতি নিয়ে কোনও কথোপকথন হয়েছিলো কিনা তা তিনি মনে করতে পারেননি। 

উল্লেখ্য, নিউ সাউথ ওয়েলসের নতুন আইন অনুযায়ী, যৌন মিলনের আগে একজন ব্যক্তিকে স্পষ্টভাবে সম্মতি দিতে হবে। এই আইন অনুযায়ী সম্মতি ছাড়া কনডম অপসারণ করাও অপরাধের মধ্যে পড়ে। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.