সুয়েজ খালে আটকে গেল জাহাজ, ৫ ঘণ্টা জাহাজ চলাচল বন্ধ

 


সুয়েজ খালে আবারও আটকে গেল জাহাজ। ২৫০ ফুট দীর্ঘ জাহাজটি সুয়েজের সরু অংশে আটকে যায়। দ্য গার্ডিয়ান–এর খবরে বলা হয়, জাহাজ আটকে গতকাল বুধবার খালের সরু পথ কয়েক ঘণ্টার জন্য জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক ‘অ্যাফিনিটি ভি’ খালের দক্ষিণ ভাগের সরু অংশে আটকে পড়ে জাহাজটি। পেছনে তৈরি হয় আরও কয়েকটি জাহাজের লাইন। পাঁচটি টাগবোট দিয়ে বড় ধরনের জটিলতা ছাড়াই সরিয়ে নেওয়া হয় জাহাজটি। আটকে যাওয়া অ্যাফিনিটি ভি পর্তুগালে মালামাল নামিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে যাচ্ছিল বলে জানিয়েছে নৌযান চলাচল পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ট্যাংকার্স ট্র্যাকারস।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সালের মার্চের শেষে সুয়েজ খালের সরু পথে আড়াআড়ি আটকে পড়েছিল পণ্যবাহী জাহাজ ‘এভার গিভেন’। তখন খালের দুই পাশে তৈরি হয় ৩০০ নৌযানের জট। ছয় দিন অভিযানের পর সরানো সম্ভব হয় বিশালাকার জাহাজটি।

সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র জর্জ সাফওয়াত মিসর সরকারের এক্সট্রা নিউজ স্যাটেলাইট টেলিভিশনকে বলেন, অ্যাফিনিটি ভি গতকাল সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে আটকে পড়ে। পাঁচ ঘণ্টা পর সেটি সরানো হয়।

বিশ্ববাণিজ্যে সুয়েজ খালের গুরুত্ব অনেক। এটি নৌপথে এশিয়া ও ইউরোপের দূরত্ব অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে, ফলে সুয়েজ খাল ব্যবহার করে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে তুলনামূলক কম খরচে পণ্য পরিবহন করা যায়। বৈশ্বিক পণ্য বাণিজ্যের ১২ শতাংশ সুয়েজ খাল হয়ে পরিবহন করা হয়। ১৮৫৯ থেকে ১৮৬৯ সালের মধ্যে এক দশকে খালটি খনন করা হয়।

এক দশক ধরে খালটি খননের কাজে নিয়োজিত ছিলেন ১০ লাখ মিসরীয়। নির্মাণসামগ্রী পরিবহন করা হতো উট ও খচ্চরের পিঠে চাপিয়ে। গত বছর সুয়েজ খাল দিয়ে প্রায় ১৯ হাজার পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করেছে। প্রতিদিন গড়ে ৫১টির বেশি জাহাজ এ জলপথ পাড়ি দিয়েছে। গত বছর ১১৭ কোটি টন পণ্য সুয়েজ খাল দিয়ে গন্তব্যে গেছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.