লেজার রশ্মিতে চার্জ হবে স্মার্টফোন
গবেষকেরা বলছেন, তাঁদের উদ্ভাবিত ইনফ্রারেড লেজার-পদ্ধতিতে ৪০০ মেগাওয়াট আলোকশক্তি ৩০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত পৌঁছানো গেছে। এই আলোকশক্তি ছোট ছোট সেন্সরে চার্জ করার জন্য যথেষ্ট। গবেষকেরা পরীক্ষার সময় আলোকশক্তিকে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তর করেন। পরবর্তীকালে এ প্রযুক্তির উন্নয়ন করে মুঠোফোনেও ব্যবহার করা যাবে।
অবশ্য লেজার রশ্মির ব্যবহার নিয়ে অনেকেরই উদ্বেগ রয়েছে। গবেষকেরা আশ্বস্ত করে বলছেন, তাঁদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি সম্পূর্ণ নিরাপদ। এ ছাড়া এই লেজার যখন ব্যবহার করা হয় না, তখন কম শক্তির মোডে রাখা যায়। কারিগরি ভাষায় একে বলা হয়, ‘ডিসট্রিবিউটেড লেজার চার্জিং’।
সেজং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জিনইয়ং হা বলেন, ‘বর্তমানে অধিকাংশ তারহীন পদ্ধতির ক্ষেত্রে চার্জগ্রহীতা যন্ত্রকে বিশেষ যন্ত্রে বসিয়ে রাখতে বা কোনো স্থানে স্থিরভাবে রেখে দিতে হয়। কিন্তু ডিসট্রিবিউটেড লেজার চার্জিং প্রযুক্তিতে চার্জ পাঠানোর যন্ত্র বা ট্রান্সমিটার ও চার্জ গ্রহণের রিসিভার নিজেই চার্জ নেওয়ার জন্য দিক ঠিক করে নেয়। অর্থাৎ ট্রান্সমিটার ও রিসিভার একই রেখায় থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হতে থাকবে।
লেজারের তরঙ্গদৈর্ঘ্য ১ হাজার ৫৫০ ন্যানোমিটার। এর অর্থ, এটি মানুষের চোখ বা ত্বকের কোনো ক্ষতি করে না। তবে এ বিষয়ে গবেষণা এখনো নতুন। গবেষকেরা আশা করছেন, আরও গবেষণার মাধ্যমে চার্জিং সমস্যার সমাধান আনতে সক্ষম হবেন তাঁরা।
সূত্র: ইন্ডিয়াটাইমসডটকম
কোন মন্তব্য নেই