কিন্তু রানতাড়ায় সাকিবদের সঙ্গে পেরে উঠছিলেন না আফিফরা। তাই অধিনায়ক সাকিব নিজেই প্রতিপক্ষকে লক্ষ্যটা কমিয়ে দিলেন ১৪৮ রানে। আফিফরা সেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেলেন স্বাচ্ছন্দ্যে। এশিয়া কাপের জন্য দেশ ছাড়ার আগে বাংলাদেশ দলের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথমটি শেষ হলো আফিফদের ৪ উইকেটের জয়ে।
প্রস্তুতি ম্যাচ বলেই আজ দুটি ইনিংসেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা হলো বেশ। টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিবই ছিলেন পরীক্ষা-নিরীক্ষার কেন্দ্রে। দুই দলেরই ব্যাটিং অর্ডার কেমন হবে, কাকে ম্যাচের কোন অবস্থায় খেলাবেন—এসবই ছিল আজ সাকিবের অ্যাজেন্ডায়।
এই যেমন সবুজ দলের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান–সংগ্রাহক শেখ মেহেদী হাসান ছিলেন মূলত লাল দলে। তিনি প্রথম ইনিংসে ব্যাট করেছেন ৩ নম্বরে। ৬ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি। কিন্তু ডেথ ওভারে তিনি কেমন করেন, সেটি দেখতে মেহেদীকে দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিংয়ে পাঠান সাকিব। সেখানে ১৬ বল খেলে ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে সবুজ দলের জয় নিশ্চিত করেন মেহেদী।
এর আগে বিসিবি হাই পারফরম্যান্স দলের ওপেনার মাহফিজুল ইসলামের সঙ্গে উদ্বোধনে নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজন মিলে পাওয়ারপ্লেতে ৫০ রান এনে দেন। এরপর আফিফ হোসেন, তানজিদ তামিম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনরা থিতু হয়েছেন। কিন্তু ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি কেউই। আফিফ দুবার ব্যাটিং করেছেন।
সাকিব নিজেও খেলেছেন ম্যাচের দুই মুহূর্তে। প্রথমে চারে ব্যাট করে ১৩ বল খেলে ১৭ রান করে আউট হন। ইবাদত হোসেনের বল মিড অফ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন তিনি। পরে ডেথ ওভারের সময় আবার ব্যাটিংয়ে নেমে ২৪ বলে ৩৬ রান করেন সাকিব। এটিই ছিল লাল দলের ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোর। টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের সঙ্গে জুটি বেঁধে মোসাদ্দেক হোসেন ১৭ বল খেলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেছেন। দুজনের ডেথ ওভারের ব্যাটিংয়ে লাল দল ২০ ওভারে ১৬৫ রান করতে সক্ষম হয়।
ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি এনামুল হক, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। এনামুল দুবার ব্যাট করে ব্যর্থ হয়েছেন। মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ খেলেছেন মিডল ওভারে। মুশফিক ২২ ও মাহমুদউল্লাহ ১২ রান করে আউট হয়েছেন।
সবুজ দলের তাসকিন আহমেদ ও নাসুম আহমেদ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। তবে ৪ ওভারে ২৭ রানে ১ উইকেট নেওয়া ইবাদত হোসেনকে মনে হয়েছে দিনের সেরা বোলার। লাল দলের দুই বাঁহাতি—সাকিব ও হাসান মুরাদ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই