বাচ্চাদের মতো ‘স্টেপ বাই স্টেপ’ হাঁটতে চান সাকিব
টি-টোয়েন্টিতে নতুন অধিনায়ককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আসছেন নতুন টেকনিক্যাল কনসালট্যান্টও। বিসিবিও এই সংস্করণ নিয়ে নতুন করে ভাবার কথা বলছে কিছুদিন ধরে। তবে বাংলাদেশের নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলছেন, এক দিনেই সবকিছু বদলে যাবে না। বাচ্চাদের নতুন হাঁটতে শেখার মতো করে এই সংস্করণে বাংলাদেশকে এগোতে হবে বলেও মনে করেন সাকিব।
বেটউইনার-কাণ্ডে বিতর্কিত হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব পেয়েছেন সাকিব। দায়িত্ব পাওয়ার পর এর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হননি অধিনায়ক। তবে আজ রাজধানীর বনানীতে একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাকিব কথা বলেছেন টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে।
জিম্বাবুয়ে সফরের আগেই অধিনায়ক নিয়ে আলোচনা উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত তখনকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে বিশ্রাম দিয়ে অধিনায়ক করে পাঠানো হয় নুরুল হাসানকে। তাঁর চোটে শেষ ম্যাচে দায়িত্ব পান মোসাদ্দেক হোসেন। সাকিবই পরবর্তী অধিনায়ক হতে যাচ্ছেন, সেটি প্রায় ঠিক করা থাকলেও বেটিং–সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে তাঁর চুক্তিতে সেটি পড়ে যায় অনিশ্চয়তার মুখে। তবে সেটিরও সমাধান হয়ে যাওয়ার পর দায়িত্ব নেন সাকিব।
অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের প্রথম সিরিজ ২৭ আগস্ট শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপ। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার পর ব্যক্তিগতভাবে সাকিব অনুশীলন করছেন কয়েক দিন ধরেই। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে দলীয় অনুশীলন। আগামী দুই দিন ম্যাচ পরিস্থিতিতে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা আছে তাঁদের। এরপর ২৩ তারিখে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেবেন সাকিবরা।
এশিয়া কাপে ভালো করার আশা করলেও টি-টোয়েন্টিতে নতুন শুরুর বিকল্প দেখছেন না সাকিব, ‘২০০৬ সালে বোধ হয় প্রথম (আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি) খেলেছি। এর পর থেকে (এ সংস্করণে) খুব একটা ভালো কিছু নেই আমাদের—শুধু একবার বোধ হয় এশিয়া কাপের ফাইনাল খেললাম। অনেক পিছিয়ে আছি। নতুন করে শুরু করা ছাড়া উপায় নেই। একটা বাচ্চা যখন হাঁটা শুরু করে, তখন তার প্রথম ধাপগুলো অনেক কঠিন হয়, পরে ধীরে ধীরে সহজ হয়ে আসে। আশা করি, আমরা বাচ্চার মতো “স্টেপ বাই স্টেপ” হাঁটা শুরু করতে পারব। আস্তে আস্তে আমরা এগোতে পারব।’
নতুন অধিনায়কের পর গতকাল নতুন টেকনিক্যাল কনসালট্যান্টও নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের সাবেক সহকারী কোচ ও আইপিএলের দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বর্তমান সহকারী কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম আসছেন এ দায়িত্ব নিয়ে। তবে এখনই তাঁর কাছ থেকে খুব বড় প্রত্যাশা করেন না সাকিব, ‘আমার মনে হয় না খুব বেশি কিছু আশা করার আছে এখানে। যেহেতু অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে পাঁচ-ছয় বছর ছিলেন, বিশ্বকাপও অস্ট্রেলিয়াতে। তাঁর অভিজ্ঞতাটা আমাদের কাজে লাগবে। এশিয়া কাপের আগে খুবই কম সময়, সেখানে কতটুকু কাজে আসবে বলা মুশকিল। আমাদের সবারই দায়িত্ব আছে যার যার জায়গা থেকে। কোচিং স্টাফ, সাপোর্ট স্টাফ থেকে শুরু করে বিসিবি, আপনারা—সবাই মিলে যদি কাজ করতে পারি, তাহলে ভালো একটা কিছু শুরু হবে।’
আপাতত সাকিব টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এগোতে চান খোলা মন নিয়েই, ‘আমার কোনো লক্ষ্য নেই। আমার লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বকাপে গিয়ে যাতে ভালো কিছু করতে পারি। আমি যদি মনে করি, এক দিনে আমি বা অন্য কেউ এসে বদলে দিতে পারবে, তাহলে আমি বোকার রাজ্যে বাস করছি। বাস্তবিক চিন্তা যদি করেন, আশা করা যায় তিন মাস পর বিশ্বকাপ খেলব, (সেখানে) দল হিসেবে যদি উন্নতি করতে পারি, সেটিই (প্রাপ্তি) হবে।’
কোন মন্তব্য নেই